মৌলভীবাজারে লন্ডনী কইন্যা নাজমার পরকীয়া ও প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধভাবে ২টিসহ ৪টি বিয়ের কাহিনী

মৌলভীবাজারে লন্ডনী কইন্যা নাজমার পরকীয়া ও প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধভাবে ২টিসহ ৪টি বিয়ের কাহিনী

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজারে এক লন্ডনী কইন্যার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২টিসহ ৪টি বিয়ে, পরকীয়া ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বিয়ে বাণিজ্য, পরকীয়া ও প্রতারণার মাধ্যমে একে একে ৩ স্বামী বদল করে বর্তমানে ৪র্থ স্বামীর ঘর করছে ওই লন্ডনী কইন্যা। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গোমড়া গ্রামের বৃটেন প্রবাসী মৃতঃ নানু মিয়ার বৃটিশ নাগরিকত্ব সূত্রে বৃটিশ নাগরিক নাজমা বেগম সর্বপ্রথম লন্ডনে নেয়ার শর্তে নগদ ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্ব রুপসপুরের মৃতঃ আব্দুল বারীর পুত্র আব্দুর রশিদকে বিয়ে করে লন্ডনে নিয়ে যান।
এর কিছুদিন পর আব্দুর রশিদকে তালাক দিয়ে নাজমা বেগম ১ম বিয়ে গোপন করে ‘কুমারী’ সেজে অনুরুপভাবে লন্ডনে নেয়ার শর্তে নগদ ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে বিগত ১৫ আগষ্ট ২০০৭ সালে হবিগঞ্জ শহরের নিউ মুসলীম কোয়ার্টারের মোঃ ওসমান গণী চৌধুরীর পুত্র ইকবাল গণী চৌধুরীকে ২য় বিয়ে করেন। তাকে লন্ডনে নিয়ে দাম্পত্য চলমান থাকাবস্থাতেই ‘তালাকপ্রাপ্তা’ সেজে ফেসবুকে বন্ধুত্বের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার চিৎলীয়া গ্রামের মৃতঃ মৌলানা আব্দুল গফুরের পুত্র আব্দুল কাইয়ুমের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে দেশে এসে একই কায়দায় লন্ডনে নেয়ার শর্তে নগদ ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে বিগত ৮ জুন ২০১৭ সালে পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল কাইয়ুমকে ৩য় বিয়ে করেন। ৩য় বিয়ে করার পর ২য় স্বামী ইকবাল গণী চৌধুরীর বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি প্রতারণার মামলা (নং- পিটিশন ২৮৯/২০১৭) ও মৌলভীবাজার সদর সহকারী জজ আদালতে একটি দেনমোহর আদায়ের মামলা (নং- পারিবারিক ২৬/২০১৭) দায়ের করেন।
অপরদিকে, দেশে অবস্থান করে ২য় স্বামী ইকবাল গণী চৌধুরীর সাথে মামলা-মোকদ্দমা ও ৩য় স্বামী আব্দুল কাইয়ুমের সাথে দাম্পত্য চলমান থাকাবস্থাতেই নাজমা বেগম মৌলভীবাজার শহরের সেন্ট্রাল রোডের পশ্চিমবাজারস্থ তার আংশিক মালিকানাধীন শাপলা ম্যানসনের কসমেটিক ব্যবসায়ী শহরতলীর জগন্নাথপুর গ্রামের নেছার আহমদের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এমতাবস্থায় নাজমা বেগম গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে ২য় স্বামী ইকবাল গণী চৌধুরীর সাথে বিদ্যমান মামলা দু’টি আপোষে নিষ্পত্তির মাধ্যমে তাকে তালাক দেন এবং ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে লন্ডনে চলে যান। ৩য় স্বামী আব্দুল কাইয়ুম, ভগ্নিপতি গোমড়া গ্রামের মৃতঃ আব্দুর নুরের পুত্র জিতু মিয়া ও ভাগ্নী লুৎফা বেগমের স্বামী ভাদগাঁও গ্রামের এমএ কাশেমের পুত্র জুয়েল আহমদ তাকে এয়ারপোর্টে পৌছে দেন।
লন্ডন গিয়ে নাজমা বেগম ৩য় স্বামী আব্দুল কাইয়ুমের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে কোন কারণ উল্লেখ ছাড়াই কমলগঞ্জ উপজেলার ৬নং আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরিত বিগত ০৫/০৩/১৯ইং তারিখের একখানা তালাকের নোটিশ প্রাপ্ত হন ৩য় স্বামী আব্দুল কাইয়ুম। ২৭/০২/১৯ইং থেকে নাজমা বেগম বাংলাদেশে না থাকা সত্তেও ০৫/০৩/১৯ইং তালাকের নোটিশ প্রেরণ করলেন কিভাবে- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আব্দুল কাইয়ুম নিশ্চিত হন তালাকের নোটিশটি ভূয়া। অপরদিকে, লন্ডনে গিয়ে সব ব্যবস্থা পাকপোক্ত করে নাজমা বেগম একপর্যায়ে গোপনে দেশে এসে গোপনে নেছার আহমদকে সাথে নিয়ে লন্ডনে ফিরে যান এবং নেছার আহমদের সাথেই ঘরসংসার করছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, অনেক চেষ্টায়ও যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে সন্দিহান আব্দুল কাইয়ুম খোঁজখবর নিতে গিয়ে একে একে জানতে পারেন লন্ডনী কইন্যা নাজমা বেগমের ইতিপূর্বেকার দুটি বিয়ে ও প্রতারণার তথ্য। তিনি এও জানতে পারেন, লন্ডনী কইন্যা নাজমা বেগমের ইতিপূর্বেকার দুটি বিয়ে, তার সাথে বিয়ে এবং নেছার আহমদের সাথে পরকীয়া প্রেম ও গোপনে দেশে এসে তাকে লন্ডনে নিয়ে যাবার সকল কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে নাজমা বেগমের ভগ্নিপতি জিতু মিয়া, ভাগ্নী লুৎফা বেগম ও ভাগ্নী লুৎফা বেগমের স্বামী জুয়েল আহমদের সংঘবদ্ধ মধ্যস্থতায়। এসব কারণে বিরোধের জেরে প্রাণনাশের হুমকী দেয়া হলে ৩য় স্বামী আব্দুল কাইয়ুম গত ১০ নভেম্বর ২০১৯ সালে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী (নং- ৬০৩) করেন এবং নিরুপায় হয়ে চলতি বছরের ১ মার্চ নাজমা বেগম, তার ভগ্নিপতি জিতু মিয়া, তার ভাগ্নী লুৎফা বেগম ও ভাগ্নী লুৎফা বেগমের স্বামী জুয়েল আহমদকে আইনগত নোটিশ প্রদান করেন। আর, এ আইনগত নোটিশ ও সাধারণ ডায়রী সূত্রেই জানা গেছে- লন্ডনী কইন্যা নাজমা বেগমের ২য় স্বামীকে তালাক না দিয়েই প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধভাবে পরকীয়া প্রেমিককে ৩য় বিয়ে এবং ৩য় স্বামীকে তালাক না দিয়েই প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধভাবে পরকীয়া প্রেমিককে ৪র্থ বিয়ে করেন।
এ ব্যাপারে লন্ডনে অবস্থানরত নাজমা বেগমের বক্তব্য জানার জন্য তার ভাগ্নী লুৎফা বেগমের স্বামী জুয়েল আহমদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কিছুক্ষণ পর নাজমা বেগম +৪৪ ৭৪৬৮ ৪৬৬৭৮৪ নম্বরযুক্ত ফোন থেকে এ প্রতিনিধিকে কল করে প্রথমে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও হুমকী প্রদান করেন। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস এর মাধ্যমে আলাপকালে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি প্রাসঙ্গিক অনেক বিষয় উল্লেখ করেন এবং লিখেন- আমার ব্যক্তিগত বিষয় কাউকে বলা জরুরি মনে করিনা। আর আপনার পেটে ব্যাথা থাকলে ঐষাধ খান, আমাকে বিরক্ত করবেন না দয়া করে। না আব্দুর রাশিদ আপনার কাছে আইছে বিচার নিয়ে, না ইকবাল আসবে, তবে আপনার ব্যাতাটা খুথায় থেকে ধরল ? আর যদি অন্য কেউ আসে সারা দোনিয়ার ব্যথা নিয়ে তা আপনে কি ঐষাদ খাওয়াতে প্রস্তুত ?
ইকবাল যদি ৫০ লাক দিয়ে বিয়ে করে তার বাবার টাকা দিয়ে বিয়ে করছে, কাইয়ুমের মার কাবিন দিয়ে বিয়ে করে নাই। আব্দুর রশিদ টাকা দিয়ে বিয়ে করে যদি তার বাবার টাকা দিয়ে বিয়ে করছিল, কাইয়ুমের বাবার টাকা দিয়ে নয়। ফকিরনির পোয়া কাইয়ুম টাকা দিবে কি করে। আমার সব টাকা সে খেয়েছে। আপনাকে বললাম সব কানে ডুকে নাই, আবারো বাঝে বকা শুরু করেছেন। আপনে বল্লেন তদন্ত করে যানাবে একন দেখি আবুল কবুল বকছেন। সে কি আপনাকে আবার ত্রেড দিতেছে আমাকে বিরক্ত করার জন্য ? আল্লাহর বান্দা হলে এই করোনার সময় নিজের পরিবারের খেয়াল রাখেন, অন্যকে বিরক্ত করার সময় নয় একন, কাইয়ুমের মতন অমানুষের কাজ করবেন না দয়া করে, একটু ভয় করেন গজবের সময়টাকে। এই গজবটাকে যে ভয় করেনা, সে আল্লাহকে কি ভয় পাবে, সে তো শুদু টাকা ছিনে, কে কতো টাকা দিয়ে কাহাকে বিয়ে করল, আরে অমানুষরা ভিতরটাকে জাগাও আল্লাহ আছেন সত্য বিচারের প্রতি। লেখা শিখেছেন বলেই লেখতে পারবেন, ভাল, লেখতে থাকেন আমিও দেখতে রইলাম। তবে যেনে রাখেন যে আমার মান সম্মান রাখেনি সব খতিপুরন দিয়ে যেতে হবে দোনিয়া থেখে, আর করোনায় যদি তারে নিয়ে যায় আমার দেখা হবার আগে তাইলে আর কিচু করার নাই।
আমি কারো খতি করি নাই, করতে চাইছিলামও না, করতে বাদ্য করলে আর কি করব। কাইয়ুমের কপাল পুরেছে, যতই লেখালেখি করেন, সে লন্ডন আর আসা হবেনা বেচারা কাইয়ুম। যদি ভিসা করতে পারি আপনাকে যানাব। দুঃখিত বেচারা লন্ডন আতে আশা করছিল so sorry for him. আপনাকে আমি সব বলেছি সব মিছাকথা তবুও আমাকে বিরক্ত করছেন তাইলে আমি কি বলব। লগডাউনের কারনে আন্য কোন কাজ পাইতেছেন না তাই আমার পিচনে লেগে আছেন। কাইয়ুমের কথায় যা আপনে করতেছেন আপনাকে একদিন জবাব দিতে হবে, তখন কাইয়ুম আপনার পাশে থাকবে না। মাথায় যদি কিচু থাকে তাইলে বোঝতে পারবে সটিক তালাক না হলে British high Commission কি দেশের মানুষের মত গুবর মাথায় তাদের, আরেকজনের ভিসা দিয়ে দিবে, কি প্রমান করবেন আর কি লিখবে আমি বোঝে গেছি কার মাথায় কত টুকু গুবর ভরা, যে কথায় বোঝে না সে কি ইশারায় বোঝবে। কাইয়ুম নিজেই প্রতারক, তার সাথে কে প্রতারনা করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *