সিলেটে কর কমিশনারের সাথে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

সিলেটে কর কমিশনারের সাথে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: সিলেটে কর কমিশনারের সাথে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১২টায়। দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী ও কর অঞ্চল-সিলেট এর যৌথ উদ্যোগে সিলেট চেম্বার সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েবের সভাপতিত্বে চেম্বার কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় কর অঞ্চল-সিলেট এর কমিশনার মো. সাইফুল হক বলেন, ব্যবসায়ীরা অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ব্যবসায়ীদের প্রদত্ত রাজস্বের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
চলমান করোনা মহামারীর কারণে এবছর আয়কর মেলা হবেনা। তবে, ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য আমরা কর অফিসে একটি পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করেছি। তিনি উল্লেখ করেন, সিলেট চেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দাবীর প্রেক্ষিতে সিলেটে কর ভবন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কর ভবন বাস্তবায়ন ও সকল ব্যবসায়ীকে করের আওতায় আনতে তিনি সিলেট চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজীকরণ, পাসপোর্টের মাধ্যমে ই-টিআইএন প্রদানসহ সিলেট চেম্বারের দাবী-দাওয়াসমূহ বিবেচনার আশ্বাস দেন।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব প্রদানে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধকরণে কাজ করে থাকে। সিলেটের ব্যবসায়ীরা কর প্রদানে বরাবরই আন্তরিক। এজন্য ইতোপূর্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে সিলেট চেম্বার ও ব্যবসায়ীদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। কির প্রদানে ব্যবসায়ীরা যেন কোন ধরণের হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তনি কর কমিশনারকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, চলমান কর ব্যবস্থায় অডিট এবং সার্বজনীন স্বনির্ধারণী আইনের মূল উদ্দেশ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নিয়মিত কর পরিশোধকারী করদাতাদের রিটার্নগুলোকে ইচ্ছামাফিক অডিটের আওতাভুক্ত করা হচ্ছে। যার ফলে করদাতাদের আইনী খরচ ও হয়রানি দুটিই বৃদ্ধি পায়। তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং করোনা মহামারী চলকালীন সময়ে কোন করদাতাকে অডিটে না ফেলার অনুরোধ জানান।
সভায় চেম্বার নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে অনেক ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তারা ই-টিআইএন গ্রহণ করতে পারছেন না। তাই, সিলেটের প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্টের মাধ্যমে ই-টিআইএন গ্রহণের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানান। এছাড়াও কর অফিসে ব্যবসায়ীদের জন্য হেল্প ডেস্ক খোলা ও কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণের অনুরোধ জানান।
সভায় অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. আবু সৈয়দ সোহেল, যুগ্ম কর কমিশনার পংকজ লাল সরকার ও শাহেদ আহমদ চৌধুরী, উপ কর কমিশনার কাজল সিংহ ও মো. আবু সাঈদ, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, সহ সভাপতি তাহমিন আহমদ, পরিচালক মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, ভ্যাট বাজেট শুল্ক কর ও ট্যারিফ সাব কমিটির আহবায়ক ও পরিচালক মো. এমদাদ হোসেন, পিন্টু চক্রবর্তী, এহতেশামুল হক চৌধুরী, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), মো. আতিক হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান প্রমুখ উপস্থিতির মধ্যে অনেকে বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *