সুরমার ঢেউ সংবাদ :: শুভ মহালয়া ছিল আজ ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার। প্রয়াত আত্মার সমাবেশকে মহালয়া বলা হয়। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পূণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া। এদিন থেকেই দেবীপক্ষের শুরু। শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠের মধ্যদিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর, এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। মহালয়া হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপর্ণ অনুষঙ্গ। এ বছর করোনা আতঙ্কের আবহে সূচনা হলো দেবীপক্ষের। আর, এবার মাতৃবন্দনা হবে মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই। পুরাণ মতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এদিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই মায়ের পূজার আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা। আর, এ দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। মহালয়া থেকে দুর্গাপূজার আগমন ধ্বনি শুনতে পাওয়া গেলেও এবার ৬ দিন পরে পুজা অনুষ্ঠিত হবেনা। আশি^ন মাস মল (মলিন) মাস হওয়ার কারণে এবার দুর্গাপূজা শুরু হবে প্রায় একমাস পর ২১ অক্টোবর থেকে।
মহিষাসুর মর্দিনী দেবী দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোন মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবেনা। ফলত অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের অধীশ্বর হতে চায়। মহালয়ার আরেকটি দিক হচ্ছে, যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরুষের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণ (অঞ্জলি) প্রদান করেন মহালয়া তিথিতে। সনাতন ধর্মানুসারে এ দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াত আত্মার সমাবেশকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া। এ দিনটি পিতৃপক্ষেরও শেষদিন।