সুরমার ঢেউ সংবাদ :: করোনাকালী সময়ে যখন কৃষকরা দেশের মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে উৎপাদনে ব্যস্ত। ঠিক সেই সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার আশায় তাদের কাছে অতিরিক্ত দামে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে ব্যস্ত। কৃষকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত দামে টমেটো বীজ বিক্রি করার অভিযোগ এনে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর বাজার এলাকার কৃষক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ২ সেপ্টেম্বর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আল-আমিনকে জানান এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আল-আমিন সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। এছাড়া, ঘটনাস্থলেই আরও অনেক কৃষকই খান এন্ড সন্স এর বিরুদ্ধে ৪৫০ টাকার টমেটোর বীজ ৭০০ টাকার অধিক দামে বিক্রির অভিযোগ করেন। এসময় খান এন্ড সন্স মালিক মজিদ খান দুঃখ প্রকাশ ও ভবিষ্যতে আর এমন করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন। সার্বিকদিক বিবেচনা করে অতিরিক্ত দামে বীজ বিক্রির দায়ে খান এন্ড সন্সকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং আইনানুযায়ী আদায়কৃত জরিমানার শতকরা ২৫ ভাগ (৪ হাজার টাকা) অভিযোগকারী কৃষক মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে প্রদান করা হয়। এছাড়াও অভিযানকালে একই ফ্রিজে মাছ মাংসের পাশাপাশি ঔষধ রাখা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা না রাখা, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রয় করা, অতিরিক্ত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রয় করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে আদমপুর বাজারে অবস্থিত ন্যাশনাল ফার্মেসীকে ২ হাজার ৫শ টাকা, কুরমা রোডে অবস্থিত হক ভেরাইটিজ ষ্টোরকে ১ হাজার টাকা ও নইনার পাড় বাজারে অবস্থিত ইভা ট্রেডার্সকে ১ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।
অভিযানে মোট ৪টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, তেল, শাক-সবজি, কাচামাল, মশলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ন্যায্যমূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং ভোগ্যপণ্যের দাম যেন কেউ অনৈতিক ভাবে বাড়াতে না পারে এবং নকল হ্যান্ড সেনিটাইজার ও নিম্নমানের সংক্রমণরোধী জীবাণুনাশক বিক্রয় করতে না পারে সে লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে।