সাপ্তাহিক সুরমার ঢেউ :: নৌ-বন্দর ঘোষণা করে সীমানা নির্ধারণ গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে নৌ-বন্দরের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে যাচ্ছে সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার ঐতিহ্যবাহী বালাগঞ্জ উপজেলা। নৌ-বন্দর হিসেবে বালাগঞ্জ উপজেলার খ্যাতি ছিল সারাদেশে সমাদৃত। কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বালাগঞ্জের নৌ-বন্দর এলাকা। বালাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মহলের প্রচেষ্টা ও সিলেট- ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে বালাগঞ্জ আবির্ভূত হতে যাচ্ছে তার পুরনো রূপে, ফিরে পেতে যাচ্ছে হারানো ঐতিহ্য।
গত ২৮ জুন রবিবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখার এসআরও নং ১৬৭-আইন/২০২০ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নদী বন্দরের সীমানা নির্ধারণ পূর্বক এই এ্যাক্ট এর প্রয়োগ কার্যকর করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেটে বালাগঞ্জ নদী বন্দরের পশ্চিম সীমানা হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা, আজমিরীগঞ্জ ইউনিয়ন, আজমিরীগঞ্জ মৌজা সংলগ্ন নদী তীর আড়াআড়িভাবে কালনী নদী (পরবর্তীতে কুশিয়ারা নদী নাম ধারণ করে), পূর্ব সীমানা সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রেলওয়ে ব্রীজের ৫০০ গজ পূর্ব (সুলতানপুর) সংলগ্ন আড়াআড়ি ভাবে কুশিয়ারা নদী অতিক্রমকারী দ্রাঘিমাংশ ও বন্দর সীমানার আওতায় নদীর উভয় তীরে সর্বোচ্চ পানি সমতল হতে ভূ-ভাগের দিকে ৫০ গজ পর্যন্ত বিস্তৃত হিসেবে ভূ-ভাগের সীমানা নির্ধারণ করে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম এ গেজেট প্রকাশ করেন। এ খবর চাউর হবার সাথে সাথে বালাগঞ্জবাসীর মাঝে শুরু হয়েছে আনন্দের বন্যা।
আর, বালাগঞ্জ উপজেলাকে নৌ-বন্দর ঘোষণা করে সীমানা নির্ধারণ গেজেট প্রকাশ করায় সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সিলেট- ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। বালাগঞ্জ উপজেলাকে নৌ-বন্দর হিসেবে সীমানা নির্ধারণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সিলেট- ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বালাগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশু কুমার সিংহ।