সাপ্তাহিক সুরমার ঢেউ :: মৌলভীবাজারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই কৃষি ব্যাংক মৌলভীবাজার শাখায় লকডাউন সাইন বোর্ড ঝুঁলিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে লকডাউন সাইন বোর্ডের মধ্যেও কতিপয় কর্মকর্তা বিশেষ গ্রাহকদের সেবা দিলেও বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামাঞ্চল থেকে আসা সাধারণ গ্রাহকরা। অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজ ও টাকা উত্তোলন করতে না পেরে ফেরত যেতে হয়েছে।
সরেজমিন মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান গেইটে লকডাউন লিখা সাইন বোর্ড ঝুলানো। এটা কে ঝুলিয়েছে জানতে চাইলে দায়িত্বরত বিরেন্দ্র পাল নামের কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, “যারা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন তারাই ঝুঁলিয়েছেন। লকডাউনের মধ্যে আপনারা কিভাবে ঢুকলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
গ্রাহকরা বলছেন, নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়েই লকডাউন লিখা সাইন বোর্ড ঝুঁলিয়েছেন। এতে অনেক গ্রাহক সেবা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। আবার দেখা যায় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা এসে সকালে ব্যাংকে ঢুকেন। লকডাউন শুধু গ্রাহকদের জন্য, না সবার জন্য এটা বুঝে আসছে না।
শাখা ম্যানেজার সুতিশ চন্দ্র রায় বলেন, “এ পর্যন্ত আমিসহ ৬ জন আক্রান্ত হয়েছি। আমরা সবাই আইসোলেশনে আছি। তবে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ব্যাংকে লকডাউন সাইন বোর্ড ঝুলানো ঠিক হয়নি। গ্রাহক সেবা অব্যাহত রাখার জন্য বাহিরের শাখা থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা এসে সার্ভিস দিচ্ছেন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, “তাদের কয়েকজন কর্মকর্তা আক্রান্তের সংবাদ আমাদের জানানো হয়েছে। তবে লকডাউনের কোনো তথ্য আমাদেরকে জানানো হয়নি। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এভাবে লকডাউনে যাওয়া ঠিক হয়নি।