সুরমার ঢেউ ডেস্ক : জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে ৩০ জুন মঙ্গলবার। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারের আর্থিক প্রস্তাবলি কার্যকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধন কল্পে আনীত বিলটি (অর্থবিল ২০২০) পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপর সংসদে উপস্থিত সবাই টেবিল চাপড়ে অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এর আগে ৪২১টি ছাটাঁই প্রস্তাব আসে। দেশের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির ৯ জন সংসদ সদস্য এ ছাটাঁই প্রস্তাব দিয়েছেন। ছাটাঁই প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, ফখরুল ইমাম, লিয়াকত হোসেন খোকা, মুজিবুর রহমান (চুন্নু) ও রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা। ৫৯টি দাবির মধ্যে সংসদ সচিবালয় এবং লেজিলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে কোনো ছাটাঁই প্রস্তাব নেই। অর্থমন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একটি করে ছাটাই প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের চার থেকে ৯টি করে ছাঁটাই প্রস্তাব রয়েছে।
সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, এসব দাবির মধ্যে সময় বিবেচনা করে দুই/তিনটির ক্ষেত্রে আলোচনার কথা বলেন। এক্ষেত্রে তিনি আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের প্রস্তাব পেয়েছেন এ দু’টি মন্ত্রণালয়ের দাবির বিপরীতে ৯টি করে ছাঁটাই প্রস্তাব রয়েছে। ছাটাই প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এর বেশিরভাগই নীতি অনুমোদন ছাঁটাই প্রস্তাব এবং কিছু রয়েছে মিতব্যয়ী ছাটাই। বেশিরভাগই নীতি অনুমোদন ছাঁটাই প্রস্তাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বরাদ্দ কমিয়ে একশ টাকা করার প্রস্তাব এবং মিতব্যায়ী চাঁটাই প্রস্তাবে বরাদ্দ ১০০ থেকে ১০০০ টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১০ জুন সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এর পরের দিন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা, শীর্ষক বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন।