মৌলভীবাজারের বিন্নিগ্রামে নিজস্ব রাস্তার জন্য অন্যের ভূমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ সঠিক নয়

মৌলভীবাজারের বিন্নিগ্রামে নিজস্ব রাস্তার জন্য অন্যের ভূমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ সঠিক নয়

সুরমার ঢেউ ডেস্ক : মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবলা ইউনিয়নস্থিত বিন্নিগ্রামে আব্দুল হাই এর বিরুদ্ধে নিজস্ব রাস্তার জন্য অন্যের ভূমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ এবং মৌলভীবাজার মডেল থানায় দায়েরী আবুল কাসেমের অভিযোগের বিষয়বস্তুও সঠিক নয়। অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত আব্দুল হাই এর বক্তব্য যাচাই ও কাগজাত দৃষ্টে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযুক্তের বক্তব্য যাচাই ও কাগজাত দৃষ্টে জানা গেছে- মৃত: রুশমত উল্যার পুত্র আব্দুল হাই বিগত ১৬/০৭/২০১৯ইং তারিখে মৌলভীবাজার সদর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত ৩৩৩৪/২০১৯নং দলিলমূলে বিন্নিগ্রামের মৃতঃ আব্দুল কাদিরের পুত্র আছাদুজ্জামান, ফয়ছল আলম ও কন্যা শামিমা আক্তারের নিকট হতে বিন্নি মৌজার ১৩০নং জেএলস্থিত ৩৬০নং এসএ, ৭০নং আরএস ছাপা ও ৫৪৪ আরএস নামজারী খতিয়ানভূক্ত ২০৯১নং এসএ ও ২৫১২নং আরএস দাগের ২১ শতক সাইলরকম ভূমি নগদ ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার বিনিময়ে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ৬৭৭/১৯-২০নং নামজারী মোকদ্দমামূলে ৬৫৪নং খতিয়ানে নিজনামে রেকর্ডভূক্ত করান। বিক্রেতাগণই জরিপের মাধ্যমে সীমসীমানা চিহ্নিত করে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর আব্দুল হাই উক্ত ভূমিতে বাড়ী নির্মানের কাজ শুরু করেন।
বাস্তবে ১৪ জুন আব্দুর রসিদের পুত্র আবুল কাসেম গংদের ভূমির কিয়দংশে পাকা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করা, আবুল কাশেম ও তার ভাইসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে পৌছে বাধা দেয়া, ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল হাই ও তার লোকজন লোহার রড, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে আবুল কাসেমের উপর হামলার চেষ্টা করা, আবুল কাসেমের ভূমির উপর দিয়েই রাস্তা নির্মানের প্রকাশ্যে হুমকি দেয়া ইত্যাদি ঘটনাই ঘটেনি। তাছাড়া, আবুল কাসেমের দাবীকৃত ভূমির আরএস দাগ নং ২৫১৩। কিন্তু, আব্দুল হাই ভূমিতে বাড়ী নির্মানের কাজ শুরু করেন সেই ভূমির আরএস দাগ নং ২৫১২- যার পূর্বে রয়েছে আরএস ২৫২১নং দাগ, পশ্চিমে রয়েছে রাস্তা সংলগ্ন বিক্রেতাদের নিজ, উত্তরে রয়েছে সড়ক ও আরএস ২৫১১নং দাগ এবং দক্ষিণে রয়েছে আরএস ২৫১৭নং দাগের ভূমি।
আবুল কাসেমের অভিযোগ প্রসঙ্গে আব্দুল হাই জানান- আবুল কাসেমের সব অভিযোগই সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, পানি নিষ্কাষনের জন্য নির্মিত ড্রেনটি আবুল কাসেমদের ভূমির প্রান্তসীমায় গিয়ে শেষ হয়েছে। তাই, নিষ্কাষিত পানি আবুল কাসেমদের ভূমিতে পতিত হবে। এটা স্বাভাবিক বিষয়। এ পানি বন্ধ করা যাবেনা, আটকানোও যাবেনা। তাই কারও কিছু করার নেই। আব্দুল হাই আরও বলেন- আবুল কাসেমদের ভুমি জবরদখল প্রমান করতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে ফেরত দিতে রাজী আছি। অণ্যথায়, আবুল কাসেমরা আমার মানহানি ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *