সুরমার ঢেউ সংবাদ : মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি রোগীরা সময়মতো ওষুধ ও খাবার পাচ্ছেন না। তার ওপরে হাসপাতালে মশার উপদ্রব থাকা সত্ত্বেও মশারি কিংবা কয়েলের ব্যবস্থা নেই। দিনের পর দিন সেখানে যান না চিকিৎসকরা। এমতাবস্থায় আইসোলেশন ওয়ার্ডের দেখাশোনা করছেন হাসপাতালের নার্স ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মর্জিনা আক্তার এসব অভিযোগ জানান। তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অপরাজিতা প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ফ্লিপট্রাস্টের মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়কারী।
মর্জিনা বলেন, “প্রতিদিন সকালের নাস্তা দেয়া হয় ১১টায়, দুপুরের খাবার বিকেল ৪টায় আর রাতের খাবার দেয়া হয় রাত ১০টায়। ভর্তি হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়েছেন। ২২ জুন সোমবার পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি।”
চিকিৎসাসেবায় গাফিলতির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কোনো ডাক্তারের দেখা পাইনি। সঠিক সময়ে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ দেয়া হচ্ছে না। প্রেসক্রিপশনে লেখা থাকে একটা, রোগীকে ওষুধ দেয়া হচ্ছে অন্যটা।”
“মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে মশারি বা কয়েল চাওয়া হলে ঝাড়ুদাররা বলে বাসা থেকে নিয়ে আসতে।” হাসপাতালটির করোনা আইসোলেশনে থাকা অপর দুই রোগী সম্পা বৈদ্য ও জগদীশ সরদারও একই ধরনের অভিযোগ করেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের মাজদিহি এলাকার রহমান মিয়া জানান, তার ভাই দুরুদ মিয়া গত ২১ জুন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আইসোলশন বিভাগে ভর্তি হন সকাল সাড়ে ১১টায় এবং দুপুর ১টায় মারা যান। এর মধ্যে কোন চিকিৎসক দেখতে আসেননি। মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে উপস্থিত পিপিই পরা ২ ব্যক্তি টেনে হেঁচরে লাশ বাইরে নিয়ে আসে। আমরা তাদের অনুরোধ করি কিছুসময় ভেতরে রাখার জন্য। একটা গাড়ি যোগার করে নিয়ে যাব। কিন্তু সেই সময়টাও তারা দেয়নি।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদ আহমদ বলেন, “আইসোলেশনের দায়িত্ব আমার না। আপনি একটু তত্ত্বাবধায়ককে অথবা আরএমওকে জানান।” তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারথী দত্ত কাননগো বলেন, “বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আর, আমি আরএমওকে বলে দিচ্ছি ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা দিতে।