যুক্তরাষ্ট্র :: শেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যার প্রতিবাদে মিশিগান রাজ্যেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সপ্তাহজুড়ে রাজপথে আন্দোলন চলছেই। এই বিক্ষোভে অনেক বাংলাদেশীও অংশ নিচ্ছেন। বুধবার বিকেলে ডেট্রয়েটের জাফারসন এভিনিউ এর সামনে হাজারো বিক্ষোভকারীর সঙ্গে যোগ দেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কাউন্সিলম্যান নাঈম চৌধুরী। তিনি মিশিগান রাজ্যের হেমট্রামিক সিটির কাউন্সিলর। এসময় নাঈম চৌধুরীকে রাজপথে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে। তবে তাঁর প্রতিবাদ ছিল শান্তিপূর্ণ। নাঈমের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- জাস্টিস ফর ফ্লয়েড, ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার।
এক প্রশ্নের জবাবে নাঈম চৌধুরী বলেন, সাদা-কালো, বর্ণ-ধর্ম এ সব নয়, আমি রাজপথে এসে দাঁড়িয়েছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে। হ্যান্ডকাপ লাগানোর পর হত্যা, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন। হত্যার ভিডিও ক্লিপ দেখে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। বিবেকের তাগিদে রাস্তায় নেমেছি। হত্যার ন্যায় বিচার চাই। বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ডেট্রয়েট জাফারসন এভিনিউ হয়ে ডেট্রয়েট ডাউনটাউন অভিমুখে হাঁটছে বিক্ষোভকারীরা। প্ল্যাকার্ড- ফেস্টুন সংবলিত বিক্ষোভকারীরা মাঝে মাঝে নো জাস্টিস, নো পিছ উচ্চারণ করে মুর্হুমুর্হু স্লোগান দিচ্ছেন। সাদা-কালো ভেদাভেদ ভুলে সব বর্ণ কমিউনিটির হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। কারফিউ ভঙ্গ করে তারা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছেন। মিছিলের পেছনে ও সামনে পুলিশ টহল দিচ্ছে। উপর দিক থেকে পুলিশের হেলিকপ্টার টহলও বিক্ষোভকারীদের নজর রাখছে।
এদিকে পুলিশ বলেছে, মিছিলটি শান্তিপূর্ণ। এজন্য বাঁধা দেয়া হচ্ছে না। বিক্ষোভকারীদের মাঝে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পানির বোতল, আইস, জুস ও বিস্কুট বিতরণ করতে দেখা গেছে অনেককে। বুধবার রাত পৌনে দশটা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। তবে গেল চারদিনে সাড়ে ৩০০’র বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারফিউ ভঙ্গ করে বিক্ষোভ-মিছিল করার অভিযোগে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা যায়।