জুড়ী প্রতিনিধি: ৩০০০ মুরগের পোল্ট্রি খামারের পক্ষে বিপক্ষে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, খামারে হামলা, অগ্নিসংযোগ সহ নানা ঘটনায় আলোচিত মৌলভীবাজারের জুড়ীর দ্বীনবন্ধু পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা এবার অভিযোগ করেছেন প্রতিপক্ষ এবং পুলিশের বিপক্ষে। এ নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। এই ফার্মে হামলার জের ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুককে কাছে কারন দর্শানোর নোটিশ এসেছে, পাশাপাশি তাঁকে অপসারনের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।
২ জুন মঙ্গলবার জুড়ীতে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দ্বীনবন্ধু সেন অভিযোগ করে বলেন, ৩১ মে আমার মালিকানাধীন বন্ধু পোল্ট্রি ফার্মে দুষ্কৃতিকারীরা অগ্নি সংযোগ করে। এতে আমার ২০০০ মুরগিসহ খামার ঘরটি পুড়ে যায়। আমি পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসার কিছুক্ষণ পর কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণের শেষ পর্যায়ে জুড়ী থানার পুলিশ সদস্য আবুল হাসেম আসে এবং একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সে ভিডিওতে আগুনের সামান্য দৃশ্য ধারণ করা হয়। যে বা যাহারা ভিডিও ভাইরাল করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে আমি ব্যাংক থেকে ২০ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে আরও ৪জন শেয়ার নিয়ে তাদের ২০ লক্ষ টাকা সহ মোট ৪০লক্ষ টাকা দিয়ে খামার দেই। আমি লাভবান হয়ে যাওয়ার আশায় কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ আমার বিপক্ষে চলে যায়। ১ মে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমার ফার্মে হামলা করেন তার সঙ্গীরা। এ নিয়ে আমি তাদের ১৪ জনকে আসামী করে জুড়ী থানায় মামলা করেছি। পুলিশ আসামী ধরলে আজ এ ক্ষতি হত না আমার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পোল্ট্রি ফার্মের অংশীদার শাহ জাহান ভূইয়া, বাহার উদ্দিন, হারিস মোহাম্মদ প্রমুখ।
জুড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ফার্মে আগুন লাগার খবর পেয়ে জুড়ী থানার পুলিশ সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস খবর দেয়। কে কাহারা আগুন দিয়েছে কেউ দেখেনি। তারা অভিযোগ দিয়েছে আমরা তদন্ত করছি। ভিডিও কে বা কাহারা ধারন করেছে এটি আমাদের জানা নেই।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো ফারুক বলেন, আমি ঘটনাটি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।