সুরমার ঢেউ সংবাদ : মৌলভীাজার জেলর সদর উপজেলার আখাইলকুরা ইউনিয়নে ভিজিডি কর্মসূচির তালিকায় নাম থাকলেও এ পর্যন্ত ভিজিডি কার্ড ও চাল কোনটাই পাননি এক হতদরিদ্র বিধবা মহিলা। অথচ তার নামীয় কার্ডের বিপরীতে নিয়মিত ভিজিডি’র চাল উত্তোলন করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে ওই বিধবা গত ১৮ মে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগের তীর ইউপি’র স্থানীয় মেম্বার গৌছুল আজমের দিকে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, ওই বিধবার ভিজিডির চাল নিচ্ছেন গৌছুল আজম মেম্বার ?
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দয়েরী হতদরিদ্র বিধবা পিয়ারা বেগমের অভিযোগে প্রকাশ- বর্তমান ভিজিডি কর্মসুচিতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নে মোট ১০৬ জনকে কার্ডের মাধ্যমে প্রতিমাসে ভিজিডি’র চাল দেয়া হয়। এই ১০৬ জনের তালিকায় ৪নং ওয়ার্ডস্থিত আমুয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ আব্দুল কাদিরের কন্যা হতদরিদ্র বিধবা পিয়ারা বেগমের নাম রয়েছে ৩৫নং ক্রমিকে। কিন্তু, এ পর্যন্ত ভিজিডি কার্ড ও চাল কোনটাই পাননি হতদরিদ্র বিধবা পিয়ারা বেগম। অথচ তার নামীয় কার্ডের বিপরীতে নিয়মিত ভিজিডি’র চাল উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক গোপন সূত্রে জানা গেছে, হতদরিদ্র বিধবা পিয়ারা বেগমের নামীয় কার্ডের বিপরীতে নিয়মিত ভিজিডি’র চাল উত্তোলিত হয়ে ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার গৌছুল আজমের ঘরে যাচ্ছে। অবশ্য, এ তথ্য অন্য কোন নিরপেক্ষ বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিজ্ঞজনদের অভিমত, মেম্বার অথবা চাল বিতরণকারী অথবা উভয়ের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া এ ধরণের আত্নসাৎ প্রায় অসম্ভব। সেই দৃষ্টিকোন থেকে গৌছুল আজম মেম্বারের বিরুদ্ধে উঠাঅভিযোগ অযৌক্তিক নয়।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য মোবাইল ফোনে আখাইলকুরা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহমদকে ৩০ মে রাত ১০:৩৪ মিনিটে পর পর দু’বার কল করলেও, প্রতিবারই তিনি কল কেটে দেন এবং পরে কল বেকও করেননি। আখাইলকুরা ইউপি’র ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার গৌছুল আজমকে রাত ১০:৫৩ মিনিটে পরপর ৩ বার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি এবং পরে কল বেকও করেননি। ফলে, এ ঘটনার ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।