কুলাউড়ায় সহিংসতার শিকার শিশুর স্বজনদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত যুবকের আপত্তিকর ফেসবুক স্ট্যাটাস

কুলাউড়ায় সহিংসতার শিকার শিশুর স্বজনদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত যুবকের আপত্তিকর ফেসবুক স্ট্যাটাস

সুরমার ঢেউ ডেস্ক :: কুলাউড়ায় গাছখেঁকো ছাগল বেঁধে রাখাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার শিকার শিশুর স্বজনদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস পোস্ট করেছে অভিযুক্তদের মধ্যে এক যুবক।
১১ মে সন্ধা ৬টায় নিজ বসতবাড়ীর পান গাছ খেতে দেখে একই বাড়ীর বাসিন্দা চাচাতো ভাই বাদল খান ওরফে মুসলিম খানদের ১টি ছাগল উঠানে বেঁধে রাখেন শিশু শাকিব খানের পিতা সহিদ খান। এতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বাদল খান ওরফে মুসলিম খান, তার পুত্র রায়েল খান, স্ত্রী রোমানা বেগম ও ছোটভাইয়ের স্ত্রী আমিনা বেগম শিশুটিকে বেধড়ক মারপিট করে।
এতে শিশুটির হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে যায়। এসময় তার শোর চিৎকারে পিতা সহিদ খানসহ শামীম মিয়া, আলাল খান, সিরাজুল হক, জালাল খান ও মোনায়েম খান এগিয়ে আসলে আসামীরা তাদের উপরও চড়াও হয়। হামলা ও ভাংচুর করে বসতঘর। লুট করে নেয় নগদ ২ লাখ টাকা ও সহিদ খানের বোন চুমকী খানমের গলায় থাকা লকেটযুক্ত স্বর্নের হার। ঘটনার পর শিশুটিকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার হাতের আঙ্গুলে ৩টি সেলাইসহ চিকিৎসা দেয়া হয়। পরদিন ১২ মে সহিংসতার শিকার শিশুটির আপন চাচা সায়েল খান বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় বাদল খান ওরফে মুসলিম খান, তার পুত্র রায়েল খান, স্ত্রী রোমানা বেগম ও ছোটভাইয়ের স্ত্রী আমিনা বেগমকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অথচ ঘটনার পর রাতে শিশুটির পিতা সহিদ খান, চাচা ও মামলার বাদী সায়েল খানসহ সুয়েল খান ও জলাল খান ‘দরজা ভাংচুর করে নগদ টাকা ও সোনা গয়না লুটপাট করে নিয়ে যান’ উল্লেখ করে ‘এই ডাকাতদেরকে আইনের আওতায় নিতে চাই’ বলে নিজ ফেসবুক আইডিতে ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করে অভিযুক্ত রায়েল খান।
সর্বশেষ, বিষয়টি অবগত ও সত্যতা নিশ্চিত হয়ে রায়েল খানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন সহিংসতার শিকার শিশুটির আপন চাচা ও মামলার বাদী সায়েল খান। সেইসাথে সহিংসতার শিকার শিশুটির চাচা সায়েল খানসহ স্বজনরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *