ফকির ইলিয়াস: বাউল সাধক শাহ আব্দুল করিমের সুযোগ্য শিষ্য সুনামগঞ্জের কৃতি বাউল,রণেশ ঠাকুরের ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই সংবাদটি ব্যাপক আলোড়িত হয়েছে দেশে বিদেশে। অনেক সংবাদ মাধ্যমে এই সংবাদটি প্রচারিত হয়।
আজ সকালে(নিউইয়র্ক সময়) আমি এই নিউজটি শেয়ার করি। অনেকেই নিউজটি শেয়ার করেন। তীব্র প্রতিবাদ জানান। এই সংবাদটি প্রচারের পরেই বাউল রণেশ ঠাকুরের জন্য একটি নতুন ঘর বানিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন, নিউইয়র্ক অভিবাসী বাংলাদেশী আমিরিকান,সুনামগঞ্জের আরেক সাহসী কৃতিসন্তান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নির্ভীক সৈনিক, ২০০২-২০০৩ সালের সাস্টিয়ান (শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র) জনাব সাদিকুর রহমান সুফিয়ান।
তিনি আমাকে ফোনে জানান, এই সংবাদটি তাকে খুবই বিচলিত করে তোলে। এরপরেই তিনি তার পিতা-মাতার নামে করা দাতা সংস্থা, ‘হাফিজুর-হালেমা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’- এর পক্ষ থেকে এককভাবেই এই ঘোষণা দেন।
তরুণ এই কর্মবীর সুফিয়ান বলেন, বিশ্বব্যাপি এই চরম মহামারী কালে, কে বা কারা বাউল রনেশ ঠাকুরের ঘরটি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তার দুটি ভেড়াকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে,আগুন ধরানো হয়েছে! যা আজকের মানবিক ইতিহাসে অত্যন্ত গর্হিত এবং মর্মান্তিক কাজ। আমি এই ঘৃণিত কাজটির প্রতিবাদ করতে গিয়েই বাউলের সাধনার ঘরটি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সাদিকুর রহমান সুফিয়ান বলেন, বাউল গান বাংলা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাউল রণেশ ঠাকুর- হাসন রাজা,রাধা রমণ, শাহ আব্দুল করিম, ফকির দুর্ব্বিন শাহ- সুনামগঞ্জের অনেক বাউলের সুযোগ্য উত্তরসূরি। আমরা এই মাটিকে উদার হাওরের উন্মুক্ত বুক বলেই জানি। সেই মাটিতে এমন অনাচার আমাকে চরমভাবে ব্যথিত করেছে।
তিনি জানান, ‘আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সকল যোগাযোগ সম্পন্ন করে কাজে হাত দেবো’। তিনি বলেন, আমরা এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিচার চাই। দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। তরুণ এই সমাজকর্মীর উদ্যোগটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে দেশে-বিদেশে। অপরাধীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবীর পাশাপাশি সকলেই বলছেন, এই সমাজে মানুষের জন্য মানুষ এই সত্যই এখনও চিরউজ্জ্বল।